Cyber Security কি? সাইবার সিকিউরিটি এর প্রয়োজনিয়তা কোথায় হয়।

Dishari Study Centre
By -
0

আমরা প্রতিনিয়ত ইন্টারনেট এর দিকে ঝুকছি , আর দিন দিন এর চাহিদা বেড়েই চলেছে। ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক কাজে নিয়মিত ইন্টারনেট  ব্যবহার করে যাচ্ছি।  আর এই ইন্টারনেট  যেমন সুফল বয়ে আনে  তেমনি  এর ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে।  আপনি কি নিরাপদভাবে ইন্টারনেট ব্যাবহার করছেন? এই নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো Cyber Security নিয়ে-




আজকের আলোচিত বিষয়গুলো হলো:-

  • সাইবার সিকিউরিটি কি?
  • সাইবার অ্যাটাক কত ধরনের হতে পারে? 
  • সাইবার সিকিউরিটি কিভাবে রক্ষা করা যায়? 

Cyber Security কি?

Cyber Security বলতে, ডিজিটাল জগতে যেসব কর্মকান্ডের মাধ্যমে তথ্য এবং নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা দেয়া হয় তাই হচ্ছে Cyber Security। হ্যাকিং বা ম্যালওয়ার অ্যাটাক থেকে বাঁচার জন্য যেসব ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয় সেই বিষয় গুলোও সাইবার সিকিউরিটির আওতাভুক্ত।

সাইবার অ্যাটাক কত ধরনের হতে পারে?

  • Attack on confidentiality: ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করা বা আপনার ব্যাংক একাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড চুরি করলে সেটি attack on confidentiality এর মধ্যে পড়বে।আপনার কাছে থেকে চুরি করে সেই তথ্য বিভিন্ন ডার্ক ওয়েবে হ্যাকাররা সেল করে দেয়।
  • Attack on Integrity: এই আক্রমন সাইবার ক্রিমিনাল এক্সেস বা প্রকাশ্যে তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে ইনডিভিজুয়াল কারো ক্ষতি করে। সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের লস করার উদ্দেশ্যে এই আক্রমন করে থাকে।
  • Attack on Availability : হ্যাকাররা আপনাদের এক্সেসে অবরুদ্ধ করে নিজে অনুপ্রবেশ করবে। আপনি আপনার ফাইলের ব্যাকআপ না রাখলে আর এক্সেস করতে পারবেন না।
  • Malware: আপনারা অনেক সময় বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ভিজিট করেন বা লিংকে প্রবেশ করেন।হ্যাকাররা আপনাদের জন্য জাল বিছিয়ে রাখেন আর আপনারা ধরা খেয়ে ফেলেন কিছু সামান্য ভুলের কারনে।ম্যালওয়ার দিয়ে সাধারণত অনেক হ্যাকারই ইন্টারনেটে ব্যবহৃত এপপস বা লিংক দিয়ে তথ্য চুরি করে যাচ্ছে।
  • ভালনারবিলিটিঃ ভালনারবিলিটি মানে হলো কোন কোড বা সার্ভারে সমস্যা থাকা। এই ভালনারিবিলিটিজনিত কোন সমস্যা আপনার ওয়েবসাইটে থাকলে হ্যাকারদের রাস্তা সহজ হয়ে যায় আপনার তথ্য চুরি করার জন্য।
  • ফিশিংঃ ফিশিং সম্পর্কে আপনারা কমবেশি সবাই  জানেন,  নাম না জানলেও এর কবলে পড়েছেন আপনারা। বুঝছেন না? তাহলে শুনুন, আপনারা হঠাৎ দেখতে পাবেন আপনি কোন ব্রাউজার অপেন করলে সেখানে অন্য একটি সাইটের লগ ইন পেজ শো করছে। আপনারা যখনই হ্যাকারদের তৈরি করা সাইটে আপনার ইমেইল আর পাসওয়ার্ড দিয়ে দিলেন তখনি সেই ইনফরমেশন তার কাছে চলে যাবে।
  • ব্যাকডোরঃ ব্যাকডোর বলতে পিছনের দরজা বুঝানো হয়। আপনারা অনেক সময়  বিভিন্ন ফ্রি সফটওয়্যার ব্যবহার করার জন্য ডাউনলোড করেন। তখনি সেসব লিংকে হ্যাকাররা শিকার করার জন্য বসে থাকে।

Cyber Attack থেকে নিজেকে কিভাবে সুরক্ষিত রাখবেন?

একজন সাধারন ব্যাবহারকারী হিসেবে আপনারও কিছু তথ্য জানা প্রয়োজন ইন্টারনেট এ সিকিউর থাকতে চাইলে। নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করতে পারেন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়িয়ে চলতে -

  • ওয়েবাসাইটের ইউজার আইডি বা কোম্পানির নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকলে সেই ওয়েবসাইটের ইনফরমেশন চুরি হতে পারে। যেহেতু ইন্টারনেট কখনই শতভাগ নিরাপদ না। তাই ব্যাকআপ তৈরি করে রাখুন।
  • আর্থিক লেনদেনের সাথে জড়িত কোম্পানিগুলো সাধারণত হ্যাকারদের বেশি আকর্ষন থাকে। তাই যেখানে সেখানে লগিন করা থেকে বিরত থাকুন।
  • ফ্রি পাব্লিক ওয়াই ফাই ব্যাবহারে বিরত থাকুন।
  • পাসওয়ার্ড সেভ করে রাখা থেকে বিরত থাকুন।
  • কোন ইমেইল থেকে এটাচমেন্ট বা তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন।
  • অপরিচিত লিঙ্ক বা ওয়েবসাইট ব্যাবহার থেকে বিরত থাকুন।
  • ক্র্যাক সফটওয়্যার থেকে বিরত থাক।

সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে প্রায় সকলের মধ্যে এক ধরনের আতংক কাজ করে। তাই সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে প্রতিরোধ মনোভাব জাগ্রত করুন। ২০০৬ সালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে সাইবার ক্রিমিনালদের  শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাই  অপরাধ করার আগেই এই বিষয়ে সতর্ক হয়ে উঠুন। প্রতারকদের হাত থেকে নিজেদের বাঁচান। আর্টিকেল টি ভাল লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)